কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাঠিটিলায় সংরক্ষিত বনে সাফারি পার্ক স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন বাতিলের সুপারিশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে অনুমোদিত প্রকল্পটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উদ্যোগী মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগ। বাতিলের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিকল্পনা কমিশনের একনেক শাখায় পাঠানো হবে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, শর্তসাপেক্ষে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। শর্ত প্রতিপালন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করে পুনর্গঠন করে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এখনো পুনর্গঠিত ডিপিপি পাওয়া যায়নি। এ কারণে গত বছরের নভেম্বরে প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হলেও সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা হয়নি। এ অবস্থায় উদ্যোগী মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বাতিলের সুপারিশ করেছে। সে অনুযায়ী প্রকল্প বাতিলের পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
লাঠিটিলা বনভূমিতে সাফারি পার্ক স্থাপনের যৌক্তিকতা হিসেবে প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়, বনাঞ্চলের উদ্ভিদ ও প্রাণীবৈচিত্র্য হুমকির মুখে। তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে পর্যটনকে উৎসাহিত করা, জবরদখল রোধ, জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, আহত ও উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীর চিকিৎসা প্রদানের জন্য সাফারি পার্ক গড়ে তোলার জন্য আলোচ্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনভূমি এক সময় জীববৈচিত্র্যে ভরপুর ছিল। লাঠিটিলা বিটের চিরসবুজ বনাঞ্চলকে ১৯২০ সালে পাথারিয়া হিল রেঞ্জের আওতাভুক্ত করে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করা হয়।
0 Comments